ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শেখা জরুরী?
ডিজিটাল মার্কেটিং, বর্তমানে মার্কেটিং জগতের ভিন্ন একটি মাধ্যম। ইন্টারনেট বা মিডিয়া ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার প্রচারনা করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যেতে পারে। যদিও টিভি বিজ্ঞাপন শুরুর সাথে সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং যুগের সূচনা হয়েছে। প্রায় প্রতি বছর Digital Marketing করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরব হচ্ছে। এবং ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্ম গুলো এর সুবিধা নিচ্ছে। তবে কিছু কিছু নতুন মার্কেটিং সিস্টেমের উদ্ভাবন হয়েছে। যদিও এই মার্কেটিং করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলো। দেখা যাবে একটা সময় টিভি মিডিয়ার যুগ শেষ হয়ে যাবে।
কারন, টিভি এড দখল করছেন বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলো। সাথে সাথে মার্কেটিং করার পরিভাষারও পরির্বতন হচ্ছে। এখন কোম্পানি গুলো চায় তাদের সেবা বা পণ্যের বিজ্ঞাপন তাদের কাছে শো করাতে যারা তাদের পণ্য নিতে চায় । অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে একেবারে টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে পণ্য মার্কেটিং করা যায় ফলে কম খরচে বেশি বিক্রি সম্ভব হয়। এবং বর্তমানে এটাই হচ্ছে। দিন দিন এআই প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মার্কেটিং করার ধারা পরির্বতন হচ্ছে।
উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সবাই এখন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চায়। বর্তমান যুগ ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ। এখন ঘরে বসে অনলাইনে কেনা কাটা থেকে শুরু করে, অনলাইনে ইনকাম করা সবটাই এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভর করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে সাধারণত মানুষ মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় পন্যের বিজ্ঞাপনকেই বুঝে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা তা না।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং মানে অনলাইনে পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাকেই বুঝায়। এখন সেটা হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মাধ্যমে, হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে, আবার হতে পারে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
আবার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেমন, টিভি, রেডিও ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করাটাও এক ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং। এছাড়া মোবাইলে ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জিং, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, মোবাইল এপ্লিকেশনের মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণাকেও ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যেতে পারে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আধুনিক বিশ্বে নিজেকে ও নিজের ব্যবসার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কোনো বিকল্প নেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপসমূহ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো ধাপ আছে। যেগুলো প্রয়োগ করে মূলত ডিজিটাল মার্কেটাররা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকেন। নিচের লিস্টে আপনি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো ধাপ সম্পর্কে জানতে পারবেন। আসুন লিস্টটা দেখে নেই।
1. এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
2. এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
3. কন্টেন্ট মার্কেটিং
4. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা এসএমএম
5. এফিলিয়েট মার্কেটিং
6. ইমেইল মার্কেটিং
7. ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং
8. সিপিএ মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অপরিহার্য অংশ। কারণ মানুষ এখন যেকোন পণ্য ক্রয় করার আগে ইন্টারনেটে ওই পন্য সম্পর্কে জেনে বুঝে তারপর ক্রয় করে। তাছাড়া মানুষ এখন দোকানে ঘুরে ঘুরে না কিনে, অনলাইন থেকেই বেশিরভাগ কেনা কাটা করে থাকে।
সহজ কথায় পণ্য বা সেবার প্রচার করার জন্যই ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়। যেমন টিভি বিজ্ঞাপন কেন ব্যবহার করা হয়, পণ্যের প্রচারের জন্য ঠিক তেমনি ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয় প্রচারনার জন্য। এর সাথে অবশ্য আরও একটি বিষয় জড়িত তাহল কোন ডিজিটাল মাধ্যমকে পণ্যের প্রচারের জন্য ব্যবহার করা। এর বড় একটি কারন হল মানুষের ডিজিটাল প্লাটফর্মের সর্বোচ্চ ব্যবহার। অধুনিক যুগের কম সংখ্যক মানুষ টিভি দেখার সুযোগ পায়। বেশির ভাগ সময় গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি মাধ্যম গুলো বেশি সময় ব্যয় করে। এটা একটা বড় কারন ডিজিটাল মাধ্যমে এড দেওয়ার।
যে সকল কারণে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করবেনঃ
• কম খরচে প্রচারণা
• গ্রাহকের সাথে সহজে সম্পর্ক স্থাপন
• গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ ও রিটার্গেটিং করা যায়
• মার্কেটিং ট্রেন্ড সহজে সনাক্ত করা যায়
• সহজে ভিজিটর বা কাস্টমারকে ট্র্যাক করা যায়
• সহজে কাস্টমার ডেটা রিচার্স ও এনালাইসিস করা যায়
• ফলে সহজে মার্কেটিং প্লান ও স্ট্রেটেজি ঠিক করা যায়।
তাই আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন, তাহলে আপনার উচিত ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। আসুন আমরা বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তাগুলো জেনে নেই।
• সমগ্র বিশ্বে মোট প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। আর এই সংখ্যাটি নিয়মিতভাবে বেড়ে চলেছে। মানুষ যত বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তত বেশি মানুষের সামনে আপনি আপনার পণ্যের মার্কেটিং করতে পারবেন। আর ইন্টারনেটে পণ্যের মার্কেটিং এ ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কতখানি তা আপনি আমাদের উপরের আলোচনা পড়লেই বুঝতে পারার কথা।
• বর্তমান বিশ্বে মোট প্রায় ৫.১১ বিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর এই সংখ্যা খুবই দ্রুত গতির সাথে বেড়ে চলেছে। এখন অনেক মানুষ আছে যারা একাধিক মোবাইল ব্যবহার করেন তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্যে। আর এই মোবাইল ফোন হচ্ছে ক্রেতার তথ্য কালেকশনের অন্যতম মাধ্যম। কারণ প্রায় সকল মোবাইল ব্যবহারকারীই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত। তাই এই ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তাও বাড়বে।
• আপনি জেনে অবাক হবে যে, একটা স্ট্যাটিসটিক্সের মাধ্যমে ইউজার সার্ভে রিপোর্ট উল্লেখ করেছে যে, প্রায় ৮৪% বিক্রেতা, মার্কেটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে ক্রেতার তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে।
• এছাড়া আরো একটি সার্ভে রেজাল্ট দেখিয়েছে যে, সারা বিশ্বে ৫৫% মানুষ যেকোন পন্য ক্রয়ের জন্যে সামাজিক মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। মানে হচ্ছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাদের পছন্দের পণ্য সম্পর্কে তথ্য এবং রিভিউ জানতে পারে। আর ক্রেতা যার প্রেজেন্টেশন ও পণ্যকে পছন্দ করবে তার কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই ক্রয় করে ফেলে।
• ৪৩% ই-কমার্স ক্রেতা গুগলে সার্চ করে তাদের পছন্দের ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আসে।
• বিশ্বে প্রায় ৫১% ক্রেতা তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা অনলাইন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে থাকে। এই সংখ্যাটিও দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
• ৭০% ক্রেতা যেকোন পণ্য কেনার আগে ইন্টার্নেটে সার্চ দিয়ে সেই পণ্য সম্পর্কে যাচাই বাছাই করেন। পণ্যটি পচ্ছন্দ হলে সাথে সাথেই ঘরে বসেই অনলাইনে অর্ডার করে ফেলেন।
• আরো একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, ৮২% ক্রেতা মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই বিক্রেতার সাথে তাদের লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলতে চান।
আপনি হয়ত এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন, আপনার ক্রেতারা কিভাবে অনলাইনে তাদের কেনাকাটা সম্পন্ন করেন। তাই আপনি যদি এই ডিজিটাল যুগে, ডিজিটাল মার্কেটে টিকে থাকতে চান, তাহলে আপনার এখনই ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ভাবা উচিত।
কারণ আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু বসে নেই, সে তার ব্যবসাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন। Coca-Cola, Unilever, Nestlé এর মতো বড় বড় কোম্পানীগুলোও কিন্তু বেশ তোড়জোড়ের সাথেই বর্তমানে ডিজিটাল দুনিয়াতে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।
আসুন এখন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করি।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?
দেখুন, বর্তমান বিশ্বের বাজার ব্যবস্থা যেভাবে ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ নিচ্ছে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যখন মানুষ আর দোকানে কিংবা বাজারে গিয়ে পণ্য কেনা বন্ধ করে দিবে। তারা সবকিছু অনলাইনেই কিনে নিবে। কারণ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবনযাত্রা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
আর মানুষ সময় নষ্ট করে বাজারে গিয়ে পণ্য যাচাই বাছাই করার থেকে অনলাইনে যেকোন পণ্য সম্পর্কে সার্চ করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা জেনে নিতে পারে। আর পছন্দ হলে সেই পণ্য একটি বিশ্বাসযোগ্য বিক্রেতার কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই কিনে নিতে পারে।
আর এই অনলাইন বাজার ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভরশীল। আপনি যদি এখনই নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ করে না তুলতে পারেন, তাহলে আপনি এই বাজার ব্যবস্থায় টিকে থাকতে পারবেন না। কারণ আপনার পণ্য সম্পর্কে যদি মানুষ অনলাইনে জানতেই না পারে, কিংবা আপনার পণ্য যদি অনলাইনে কিনতে না পারে, তাহলে কোন ক্রেতাই আপনার পণ্য কিনবে না।
আপনি যদি ভবিষ্যতে আপনার ব্যবসাকে সফল হিসাবে দেখতে চান তাহলে এখনি সময়। এখনি উত্তম সময়, নিজেকে এবং নিজের ব্যবসাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় নিয়ে এসে, ক্রেতার সামনে আকর্ষনীয়ভাবে নিজের পণ্যকে তুলে ধরার।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইওঃ
ধরুন, আপনি একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যাগ বিক্রি করেন। আপনি চান, কেউ যদি গুগলে ব্যাগ কেনাসংক্রান্ত কিছু লিখে খোঁজ করে (সার্চ), তাহলে যেন আপনার ওয়েবসাইটের নাম ওপরের দিকে আসে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে, সেটি এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন নামে পরিচিত।
শুধু গুগল নয়, ইয়াহু, বিং বা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনই একটি স্বয়ংক্রিয় নিয়ম বা পদ্ধতি ব্যবহার করে। এই নিয়ম বা পদ্ধতি যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে তথ্য খোঁজার ফলাফলে (সার্চ রেজাল্ট) কোনো ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজকে ওপরের দিকে দেখানো সম্ভব।
একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যেন সঠিক তথ্য খুঁজে পান, সে জন্য এসইও সেই তথ্যকে সার্চ ইঞ্জিনের উপযোগী করে তোলে। এসইওর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কী তথ্য খুঁজছেন, কী ধরনের সমস্যার সমাধান চাচ্ছেন, কী ধরনের শব্দ বা কি–ওয়ার্ড ব্যবহার করছেন এবং কী ধরনের কনটেন্ট তাঁরা চান—সে সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন এবং তা বিশ্লেষণ করে প্রয়োগ করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাঙ্কিং করাতে পারবেন।
এসইও কীভাবে কাজ করে?
একটি সার্চ ইঞ্জিন প্রধানত তিনটি কাজ করে—
১. ক্রলিং: ইন্টারনেটের সব বিষয়বস্তু (কনটেন্ট) ইউআরএল, মানে ওয়েব ঠিকানাসহ খুঁজে বের করার পদ্ধতিকে ক্রলিং বলা হয়।
২. ইনডেক্সিং: ক্রলিংয়ের পর সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সেগুলো সংরক্ষণ ও গোছানোর পদ্ধতিকে বলা হয় ইনডেক্সিং। একবার ইনডেক্স করা তথ্য পরে ব্যবহারকারীর ‘সার্চ’ এবং প্রাসঙ্গিকতা অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধানের ফলাফল হিসেবে দেখা যায়।
৩. র‌্যাঙ্কিং: র‌্যাঙ্কিং হচ্ছে ব্যবহারকারীর সার্চ অনুযায়ী ইনডেক্সিং করা লেখা, ছবি, ভিডিও, পিডিএফ ইত্যাদি থেকে ক্রমানুসারে কনটেন্টের সাজানো তালিকা, যেখানে একজন ব্যবহারকারী তাঁর কাঙ্ক্ষিত তথ্য খুঁজে পান।
ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে কাজের চাহিদাঃ
শুধু এসইও নয়, যেকোনো কাজ শেখার ক্ষেত্রে মাথায় রাখা উচিত কীভাবে এটি প্রয়োগ বা ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জন করা যায়। ডিজিটাল বিপণনের যেকোনো কাজ করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং / এসইও শেখার বিকল্প নেই। আর ডিজিটাল বিপণনের একটা বড় অংশই নির্ভর করে এসইওর ওপর। যেহেতু ডিজিটাল বিপণন দিন দিন আরও গুরুত্ব পাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং / এসইও হতে পারে আপনার আয়ের অন্যতম মাধ্যম। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং / এসইও–সংশ্লিষ্ট প্রচুর কাজ আছে, তবে অভাব আছে দক্ষ এসইও পেশাজীবীর বা ডিজিটাল মার্কেটারের। শুধু যে নয়টা-পাঁচটা চাকরিই করতে হবে, তা নয়। দক্ষতা অর্জন করে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ঘরে বসেও কাজ করতে পারবেন।
এসইও ছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যান্য প্লাটফর্ম যেমন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ইত্যাদিরও অনেক ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে।
আয়ের জন্য যেসব পথ আপনি বেছে নিতে পারেন:
অনেকেই হয়ত জানেনই না, ডিজিটাল মার্কেটিং / এসইও জানা থাকলে শুধুমাত্র ফাইভার, আপওয়ার্ক বা ফ্রিল্যান্সার.কম ই নয়, বরং এর পাশাপাশি আরও কত উপায়ে সেটাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে উপার্জন সম্ভব। কত উপায়ে উপার্জন করা যায় তার একটা ধারণা দেওয়া হলঃ
• আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়ার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে (মার্কেটপ্লেস) ফ্রিল্যান্সিং
• ইউটিউব চ্যানেল
• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
• ব্লগ তৈরি করে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করা
• লোকাল মার্কেট তথা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এসইও পেশাদার হিসেবে বা চুক্তিভিত্তিক কাজের সুযোগ
• এসইও পরামর্শক হিসেবে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি
• ই-কমার্সের এসইও করে আয়
• নিজের যেকোনো অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করা
কতদিন সময় লাগবেঃ
এটা পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার বুঝার ক্ষমতা ও সময় দেওয়ার উপর। তবুও গড় একটা ধারণা দিলে, যদি প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা করে সময় দেন তাহলে ৩-৪ মাসের মধ্যেই ইনকামে যেতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলতে চাই, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে রাখাটা এখন সময়ের দাবী। আপনি যদি ধৈর্য্য এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন তাহলে ধরে নিবেন আপনি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত। তবে ব্যাপারটা বলা যত সহজ করাটা ঠিক তার থেকে কয়েকগুণ বেশি কঠিন।
অনেক সময়, অনেক এক্সপেরিমেন্ট, অনেক কিছু বোঝার মাধ্যমে আপনার নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ করে তুলতে হবে। আপনি যদি কিছুদূর যাওয়ার পর হাল ছেড়ে দেন তাহলে হবে না। তবে আশার কথা হচ্ছে, বীকন আইটি’তে ডিজিটাল মার্কেটিং এন্ড এসইও উইথ ফ্রিল্যান্সিং ওপর একটি দারুণ কোর্স আছে। আপনি চাইলে যেকোন সময় কোর্সটিতে ভর্তি হতে পারেন।
কোর্সের মেয়াদঃ ৩ মাস।
কোর্সে যা শেখানো হবেঃ

Level 1: Web Fundamental

  • Orientation + Basic Overview Of SEO
  • SEO Glossary / Basic Learn
  • Niche + Keywords Research
  • Buying And Info Keyword Research
  • LSI Keyword Research
  • Competitors Analytics

Level 2: ON Page SEO

  • Domain Purchas With CPanel Configuration
  • Create A Site With WordPress
  • Content For SEO
  • Optimize Content
  • Expired Domain Research

Level 3 Technical SEO

  • Google Search Console
  • Google Analytics
  • Load Speed Optimization
  • Connect Your Business To Google
  • Rich Snippet Mark-Up
  • SSL Certificate + Local SEO + Affiliate Marketing

Level 4: OFF Page SEO

  • Social Link Building And Profile Link Building
  • Citation & Press Release
  • Forum Backlink & Comment Backlink+ PDF Submission
  • Resource Page + Broken Link, Quora And Pinterest Marketing
  • Web 2.0 Backlink & Skyscraper Process
  • Blogger Outreach (Guest Posting)
  • SEO Audit & Action Plan

Level 5: Social Media Marketing (PPC)

  • Facebook Marketing
  • Instagram Marketing
  • Google Adwords

Level 6: Data Entry, Ecommerce and Product Listing

  • Types of listing : Single & Variations
  • Amazon Listing
  • eBay listing
  • Shopify Listing
  • Etsy Listing

Level 7: How to get job online

  • FREELANCING MARKETPLACES
  • Job portal
  • Social Media
  • Payment Method
বিস্তারিতঃ
বীকন আইটি
বাড়ি ৮৩, রোড ৭, ও আর নিজাম রোড, জিইসি, চট্টগ্রাম।
ফোনঃ ০১৮ ৬০ ৬০ ২০ ২০, ০১৭৯ ০০০ ৪৪ ৮৮
ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/Beaconit
ফেসবুক গ্রুপঃ https://www.facebook.com/groups/beaconit.org