কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট লিখতে হয়? | How to Write SEO Friendly Content in Bangla?
Many of us Write an Article but can’t Rank Their Article in Search Engine Because They don’t have idea about Write SEO friendly Content. So Today I am Giving Some Tips That How to Write A SEO Friendly Content.
আপনি হইতো অনেক ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লিখছেন। কিন্তু তবুও গুগলের র্যঙ্কিংয়ে আসতে পারছেন না। তাহলে হইতো আপনার কন্টেন্ট এসইও ফ্রেন্ডলি হচ্ছে না। তো আপনিও কি SEO Friendly Content লেখা শিখতে চান?
সকলেই হইতো কন্টেন্ট লিখতে পারে কিন্তু এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট লেখার জন্য আপনাকে কিছু বিশেষ জ্ঞ্যন মাথায় রাখতে হবে। কারণ এটি আপনার কন্টেন্ট রাইটিং এর দক্ষতা বাড়িয়ে দিবে এবং ভালো মানের ব্লগিং ক্যারিয়ার গড়তে এর বিকল্প নেই।
তাই আজকের আর্টিকেলে, আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু টিপস শেয়ার করতে যাচ্ছি যা আপনাকে এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট লেখা শিখতে সাহায্য করবে যা সহজেই সার্চ ইঞ্জিনের র্যঙ্কিংয়ে আসতে পারে।
প্রতেকটি ব্লগ পোস্ট সার্চ ইঞ্জিনের কাছে একটি ওয়েব পেজের মতো এবং আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু কিওয়ার্ড বেছে নেওয়া লাগবে তাদের পেজে র্যঙ্কিংয়ে আসার জন্য। আর সে জন্য এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট লেখা অবশ্যই প্রয়োজন।
কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট লিখতে হয়? | How to Write SEO Friendly Content in Bangla?
লেখা শুরুর আগে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে (You Should Start With Research.)
আপনি যদি সত্যিই সকলের থেকে আলাদা কিছু লিখতে চান তাহলে অবশ্যই প্রথমে কিছু বিষয় নিয়ে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে। নতুবা আপনার অন্ধকারে গুলি ছোড়ার মতো অবস্থা হতে পারে।
কন্টেন্ট লেখার আগে আপনাকে নির্ধারিত কিছু বিষয় নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। যেমনঃ
1. Select A Targeted Keyword.
আর্টিকেল লেখা শুরুর আগে কিছু কিওয়ার্ড (Keyword) টার্গেট করে নেওয়া অত্যান্ত প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আপনাকে এমন কয়েকটি কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে যেগুলো সার্চ ভলিউম অনেক বেশি কিন্তু তুলনামুলক কম্পিটিশন অনেক কম।
এগুলো রিসার্চ করার জন্য আপনি গুগল কিওয়ার্ড রিসার্চ (Google Keyword Research) টুলস ব্যবহার করতে পারেন যা গুগল সম্পূর্ণ বিনামুল্যে দিয়ে থাকে। কিংবা আপনি যদি আরো বেশি ফিচার পেতে চান তবে Ahref অথবা SemRush ব্যবহার করতে পারেন। তবে এগুলো পেইড টুলস।
2. Length of the Content.
লেখার আগে আপনি কতোটুকু লিখবেন সেটা নিয়ে বিস্তারিত রিসার্চ করে নিন। এক্ষেত্রে আপনি প্রথমে লেখার মুল পয়েন্ট গুলো সাজিয়ে নিতে পারেন।
এছাড়া গুগল বড় কন্টেন্ট, যেখানে কোন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে লেখা থাকে সেগুলোকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং কিওয়ার্ড সিলেক্ট করার সময় অবশ্যই বড় বড় কিওয়ার্ড (Long Tail Keyword) সিলেক্ট করুন।
3. Type of the Content.
আপনি কি ধরণের কন্টেন্ট লিখবেন সেটা আগে থেকেই ঠিক করুন। তাছাড়া আপনি যে বিষয়ে লিখছেন গুগল র্যাংকিকে সে বিষয় নিয়ে অলরেডি কি ধরনের পোস্ট রয়েছে সে গুলো খুজে বের করুন। এটি আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন কি ধরনের কন্টেন্টকে গুরুত্ব দেয় সে বিষয়ে ধারনা পেতে সাহায্য করবে।
4. Analyze existing Content for outline.
আপনি যে বিষয়ে কন্টেন্ট লিখছেন সে বিষয়ে আগে থেকে কেউ লিখে রেখেছে কিনা, কিংবা সে কিভাবে লিখেছে অথবা কিভাবে বিষয়টি তার থেকে ভালো ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরা যায় এসব আগে থেকেই ভেবে রাখুন। এই সবগুলোর একটি লিস্ট তৈরি করুন এবং তার মধ্যে থেকে বেস্ট রেজাল্ট গুলোকে বেছে নিন।
5. People Also Ask question.
আপনি যে টপিক নিয়ে লিখবেন সে সম্পর্কে মানুষ কি কি জানতে চার্জ করে সে বিষয়গুলো আগে থেকেই নজরে রাখুন।
এক্ষেত্রে আপনি গুগলে আপনার সিলেক্ট করা কিওয়ার্ড লিখা সার্চ করুন। একদম নিচে People Also Ask নামে একটি সেকশন পাবেন।
কিভাবে আর্টিকেল কে এসইও এর জন্য অপটিমাইজ করতে হয়? (How To Optimize an Article for Search Engine optimization.)
আপনি ব্লগিং প্লাটফর্ম হিসেবে Blogger.com অথবা WordPress.com যেটিই ব্যবহার করেন, আপনার আর্টিকেল কে এসইও অপটিমাইজ করার জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর উপর নজর দেওয়া লাগবে।
Read more:- What Is SEO? Search Engine Optimization কেন করা হয়?
1. Post Title & Meta Title.
প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে Post Title এবং Meta Title এর মধ্যে পার্থক্য কি?
- Post Title: পোস্ট টাইটেল হলো একজন পাঠক কিভাবে আপনার পোস্টের টাইটেল টিকে দেখছে। এবং,
- Meta Title: মেটা টাইটেল হলো সার্চ ইঞ্জিন আপনার পোস্টর টাইটেল টিকে কিভাবে দেখছে।
তো আপনার লেখার টাইটেলকে এমনভাবে অপটিমাইজ করা লাগবে যেন, একজন পাঠক এবং সার্চ ইঞ্জিন উভয়ই বুজতে সক্ষম হয়।
2. Post Meta Description.
Meta Description সার্চ ইঞ্জিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। কারন এটি আপনার পুরো কন্টেন্ট কে সংক্ষিপ্ত আকারে সবার কাছে তুলে ধরে।
তাই আপনি যদি আপনার ব্লগে Meta description ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে আজ থেকেই শুরু করুন। এবং আগে যে সকল আর্টিকেল আছে সেগুলোতেও Post Meta description এড করে নিন।Meta Description আপনার কিওয়ার্ড (Keyword) বসানোর জন্য একটি উত্তম যায়গা। কারণ এটি সার্চ রেজাল্ট দেখানো হয়ে থাকে এবং র্যঙ্কিংয়ে যাওয়ার জন্য এর গুরুত্ব অনেক।
3. Image alt Attribute.
গুগল আমাদের দেওয়া ইমেজ পড়তে পারে না। সে জন্য ইমেজের মধ্যে কিছু টেক্সট লেখার অপশন দেওয়া থাকে। যে গুলোকে Alt Tags/Alt Attribute বলা হয়।
আর তাই আপনার ইমেজ কি বোঝাতে চাই সেটি সার্চ ইঞ্জিনকে বোঝানোর জন্য, ইমেজের একটি ভালো নাম দেওয়া অত্যান্ত প্রয়োজন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই অনেকেই দেখা যায় ইমেজ আপলোড করে যার নাম image00001.jpg। এটি অনেক বড় একটি ভুল।
একটি ইমেজের নাম দেওয়ার সময় দেখা প্রয়োজন নামটি যেন ইমেজ রিলেটেড হয়। যেমন আপনি যদি Blogger Dashboard উপর একটি ইমেজ আপলোড করেন তবে তার নাম ‘blogger’ হবে না ‘blogging-dashboard’ হবে।
আপনি চাইলে আপনার কিওয়ার্ড টিকেও Image alt Attribute এর মধ্যে দিতে পারেন যদি সেটা ইমেজ রিলেটেড হয়।
4. Interlink & Anchor Text.
আপনি যখন কোন নতুম আর্টিকেল লিখেন এটি একটি ভালো আগের রিলেটেড আর্টিকেল গুলোর লিংক দিয়ে দেওয়া যাতে ভিজিটররা অনেকক্ষণ ধরে ব্লগে থাকে এবং সার্চ ইঞ্জিন সেগুলোকে রি-ক্রল (Re-crawl) করতে পারে।
এটি আপনার ব্লগের বাউন্স-রেট (Bounce-Rate) কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করবে যেটা এসইও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যক্টর।
4. Remove Ignore word from Permalink.
কিছু ওয়ার্ড আছে যেমন ‘a, an, The’ এগুলো সার্চ ইঞ্জিন ইগনোর করে থাকে। কিন্তু Post Title এ আমাদের এই ওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে।
তাই এসকল ওয়ার্ডগুলো আমাদের Permalink থেকে রিমুভ করে দিতে হবে।
যেমন যদি আমাদের কোন পোস্টের Title হয়ঃ
- 3 Ways To Make a Blog Business Plan.
আমাদের পোস্টের অটোমেটিক Permalink হবেঃ
- yoursite.com/3-ways-to-make-a-blog-business-plan.
এবং এই পার্মালিঙ্ক থেকে সার্চ ইঞ্জিনের ইগনোর করা ওয়ার্ড গুলো রিমুভ করে দেওয়া লাগবে। যেমন এটির পার্মালিঙ্ক হতে পারে ‘blog-business-plan’.
6. Use H1, H2, H3, H4 Heading Tags.
ভালোভাবে heading Tags গুলো ব্যবহার করা এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট লেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার। এসইও অপমাইজ প্যাটার্ন অনুযায়ী পোস্টের টাইটেলটিকে আমরা H1 heading হিসেবে ব্যবহার করব তারপরের সাব-হেডিংকে H2, তারপরের টিকে H3, এভাবে H4, H5, H6 পর্যন্ত হয়ে থাকে।
একজন মানুষ একটি লেখা দেখলেই বুঝতে পারে কোনগুলো Heading, কোনগুলো Sub-Heading. কিন্তু সার্চ ইঞ্জিনকে সেটা বোঝানোর জন্য Heading tags গুলোর ব্যবহার করা অত্যান্ত প্রয়োজন।
আজকের লেখার মুলবিষয়ঃ
- কিওয়ার্ড রিসার্চ করা।
- কতোটুকু কন্টেন্ট লিখবেন সেটি আগে থেকেই ঠিক করা।
- আপনার কন্টেন্টের উপর গুগল কি রকম প্যাটার্নের লেখা গুলোকে র্যঙ্কিংয়ে এনেছে সেগুলো সার্চ করা।
- ‘People Also Ask’ থেকে কিছু প্রশ্নের লিস্ট করা এবং সেগুলো কন্টেন্টের ভিতর ইনক্লুড করার চেষ্টা করা।
- Post Title & Meta Title ভালো করে অপটিমাইজ করা।
- Post Meta Description অপটিমাইজ করা।
- ইমেজে Image Alt Text ব্যবহার করা।
- ইন্টারনাল লিঙ্ক / এংকর টেক্সট ব্যবহার করা।
- পোস্টের Permalink থেকে ইগনোর ওয়ার্ডগুলোকে রিমুভ করা।
- Heading Tags গুলোকে ভালোভাবে ব্যবহার করা। (H1, H2, H3 এর মধ্যে কিওয়ার্ড বসানোর চেস্টা করা)