উইন্ডোজে ওয়েব ব্রাউজারগুলোর মধ্যে গুগল ক্রোম ও ফায়ারফক্স বেশ জনপ্রিয়। এই দুই ওয়েব ব্রাউজারের জনপ্রিয়তার মাপকাঠি নির্ণয় করা অনেক কঠিন। কারণ কেউ ব্যবহার করেন গুগল ক্রোম, আবার কেউ ব্যবহার করেন ফায়ারফক্স।

২০০৮ সালে চালু হওয়ার পর থেকে গুগল ক্রোম বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অন্যদিক থেকে ২০০২ সালে সূচনালগ্ন থেকে ফায়ারফক্সের ব্যবহারকারীর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। এই দুই ইন্টারনেট ব্রাউজারের মধ্যে ব্যবহারকারীদের জন্য কোনটি ভালো সে বিষয়ে আজ আপনাদের জানাবো-

গতিশীলতা ও উপযোগিতা

বর্তমানে গুগল ক্রোম ও ফায়ারফক্স কোনো ব্রাউজারকেই ধীরগতির ব্রাউজার হিসেবে অভিহিত করা যায় না। তবে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বা ব্রাউজার সংশ্লিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু পার্থক্য দেখা যায়। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ও সাফারির তুলনায় গুগল ক্রোম কিছুটা ধীরে চলে। এদিক থেকে ফায়ারফক্স এগিয়ে রয়েছে। কারণ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের দিক থেকে ফায়ারফক্সের গতিশীলতা বেশি। আর গুগল ক্রোমের তুলনায় ফায়ারফক্স দ্রুতগতিতে কাজ করার কারণে ব্যবহারকারীরা এটি একটু বেশি পছন্দ করে।

অতিরিক্ত ফিচার

ফায়ারফক্সের তুলনায় গুগল ক্রোমে অতিরিক্ত ফিচার রয়েছে। জি-মেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করার মাধ্যমে গুগল ফটোস, ড্রাইভ, শিটস, মিট এবং গুগলের অন্য ফিচারগুলোতে প্রবেশ করা যায়। অতিরিক্ত ফিচারের দিক থেকে তাই গুগল ক্রোম এগিয়ে রয়েছে।

নিরাপত্তা

ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষার জন্য সব ব্রাউজারেই রয়েছে বিশেষ ব্রাউজিং মোড। যেসব ব্যবহারকারী তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা অ্যাড-অন, এক্সটেনশন, অ্যাড-ব্লক প্লাসের দিকে ঝোঁকেন। এছাড়াও তারা গুগল ক্রোম ও ফায়ারফক্স উভয় ব্রাউজারই ওপেন করেন। ফলে নিরাপত্তার দিক থেকে গুগল ক্রোম ও ফায়ারফক্স উভয় ব্রাউজারই এগিয়ে রয়েছে। তবে ফায়ারফক্সের ব্যবহারকারীর সংখ্যা গুগল ক্রোমের তুলনায় বেশি।

কোনটি এগিয়ে-গুগল ক্রোম না কি ফায়ারফক্স?

তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে দুটিতেই এগিয়ে রয়েছে ফায়ারফক্স। শেষাংশে উল্লিখিত অতিরিক্ত ফিচারের মাপকাঠিতে গুগল ক্রোম এগিয়ে রয়েছে। ব্যবহারকারীর দিক থেকেও ফায়ারফক্সের অবস্থান রয়েছে শক্তিশালী। প্রকৃতপক্ষে ফায়ারফক্স গুগলের প্রাণকেন্দ্র। কারণ গুগল ক্রোমের চেয়ে ফায়ারফক্সের গতিশীলতা ও উপযোগিতা বেশি এবং গোপনীয়তা রক্ষায়ও এগিয়ে রয়েছে ব্রাউজারটি।

সূত্র: ম্যাশেবল